ঢাকা ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গত ২৮ বছরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে মেয়েদের পাসের হার বেড়েছে আড়াই গুণ – শিক্ষামন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২৪:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
  • ১৮০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, গত ২৮ বছরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে মেয়েদের পাসের হার বেড়েছে আড়াই গুণ। আজ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়নে নারী দিবসের অনুষ্ঠনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএন উইমেনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি গিতাঞ্জলি সিং। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভিন।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৯০ সালে ৩০ শতাংশ মেয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাস করেছিল। ২০১৯ সালে পাস করেছে ৮৩ শতাংশের বেশি মেয়ে। ১৯৯০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাস করেছিল ৩১ শতাংশ মেয়ে। আর ২০১৯ সালে পাস করেছে প্রায় ৭৫ শতাংশ মেয়ে।

মন্ত্রী আরো বলেন, ব্যানবেইসের ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এডুকেশন স্ট্যাটিসটিকস ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থী ৫৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ নারী। উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ দশমিক ২৭ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৩৫ দশমিক ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী মেয়ে। আর মাদ্রাসা শিক্ষা পর্যায়ে মোট ৫৫ দশমিক ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নারী।

মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট হতে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৭৫ শতাংশ নারী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে ২০১২-১৩ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ৯ লাখ ৭১ হাজার ৮৭৩ জন নারী শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি বাবদ ৪৭৬ কোটি ২১ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা বিতরণ করা হয়।

দীপু মনি বলেন, নারী উন্নয়নে এখন সারাবিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা যেন থেমে না যায় তাই কোভিড-১৯ মহামারির প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আমাদের ছিল সময়োচিত, সমন্বিত বহুমুখী উদ্যোগ। মহামারি মোকাবিলায় ও অর্থনীতিকে সচল রাখতে বিভিন্ন সময়ে ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৪৬০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের আর্থিক সাহায্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে ৬৪ জেলায় দুঃস্থ নারীদের মাঝে ৪ হাজার সেলাই মেশিন ও ২ হাজার জন দুঃস্থ ও অসহায় নারীদের মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ২ হাজার টাকা করে মোট চল্লিশ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। গত বছর মহামারির প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে প্রায় ৪ কোটি মানুষকে নগদ অর্থসহ অন্যান্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।

#

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গত ২৮ বছরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে মেয়েদের পাসের হার বেড়েছে আড়াই গুণ – শিক্ষামন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১০:২৪:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, গত ২৮ বছরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে মেয়েদের পাসের হার বেড়েছে আড়াই গুণ। আজ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়নে নারী দিবসের অনুষ্ঠনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএন উইমেনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি গিতাঞ্জলি সিং। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভিন।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৯০ সালে ৩০ শতাংশ মেয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাস করেছিল। ২০১৯ সালে পাস করেছে ৮৩ শতাংশের বেশি মেয়ে। ১৯৯০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাস করেছিল ৩১ শতাংশ মেয়ে। আর ২০১৯ সালে পাস করেছে প্রায় ৭৫ শতাংশ মেয়ে।

মন্ত্রী আরো বলেন, ব্যানবেইসের ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এডুকেশন স্ট্যাটিসটিকস ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থী ৫৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ নারী। উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ দশমিক ২৭ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৩৫ দশমিক ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী মেয়ে। আর মাদ্রাসা শিক্ষা পর্যায়ে মোট ৫৫ দশমিক ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নারী।

মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট হতে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৭৫ শতাংশ নারী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে ২০১২-১৩ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ৯ লাখ ৭১ হাজার ৮৭৩ জন নারী শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি বাবদ ৪৭৬ কোটি ২১ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা বিতরণ করা হয়।

দীপু মনি বলেন, নারী উন্নয়নে এখন সারাবিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা যেন থেমে না যায় তাই কোভিড-১৯ মহামারির প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আমাদের ছিল সময়োচিত, সমন্বিত বহুমুখী উদ্যোগ। মহামারি মোকাবিলায় ও অর্থনীতিকে সচল রাখতে বিভিন্ন সময়ে ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৪৬০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের আর্থিক সাহায্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে ৬৪ জেলায় দুঃস্থ নারীদের মাঝে ৪ হাজার সেলাই মেশিন ও ২ হাজার জন দুঃস্থ ও অসহায় নারীদের মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ২ হাজার টাকা করে মোট চল্লিশ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। গত বছর মহামারির প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে প্রায় ৪ কোটি মানুষকে নগদ অর্থসহ অন্যান্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।

#